হাই কোর্টে গিয়েও লাভ হল না হাওলাদারের

ঋণ খেলাপের কারণে নির্বাচনের অযোগ্য হওয়া জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেও প্রার্থী হওয়ার অনুমতি পাননি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 10:45 AM
Updated : 11 Dec 2018, 10:56 AM

মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাই কোর্ট বেঞ্চ তার রিট আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে হাওলাদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের কমিশনের সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম বলেন, “রুহুল আমিন হাওলাদারের রিট আবেদনটি আদালত আউট অব লিস্ট করেছেন।... এখন চাইলে আবেদনকারী আবেদনটি নিয়ে অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্য যেতে পারবেন।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিব থাকা অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার। গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে ঋণ খেলাপের দায়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও হেরে যান হাওলাদার। এরপর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য গত রোববার হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন তিনি।

এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পরদিন ৩ ডিসেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গাঁকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব করা হয়।

হাওলাদারের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আশিক অল জলিল।

পরে আশিক আল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত আপ টু ডেট ইনফরমেশন (হালনাগাদ তথ্য) চেয়েছিল। আমরা সেটা দিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত এতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে রিট আবেদনটি আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করে দিয়েছেন।”

রোববার রিট আবেদনের পর এই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে হাওলাদারকে ‘ঋণ খেলাপি’ বলা হয়েছিল। সে কারণে পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে। কিন্তু শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক গত ৮ নভেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারের ঋণ পুনঃতফসিল করে স্টেটমেন্ট দেয়।

“কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করার এখতিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের না থাকার পরও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পুনঃতফসিলের স্টেটমেন্ট গ্রহণ না করে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”