ওই সময়ের আলোচিত এই হত্যা মামলার আসামি কথিত সর্বহারা পার্টির ২৬ জনের বিরুদ্ধে রায় দেবেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে রাজৈরের পূর্ব শাখারপাড় মোড়ে এসবির এসআই হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান অফিস সহকারী মো. কামরুল আলম খান ঠাকুরের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে কথিত সর্বহারা পার্টির সদস্যরা।
পুলিশের লোক বুঝতে পেরেই তাদেরকে আটকানো হয়েছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে তাদের হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে কুমার নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
আজম খান ও কামরুল আলম কার্যালয়ে দুইদিন অনুপস্থিত এবং তাদের খোঁজ পাওয়া না গেলে তৎকালীন মাদারীপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরির্দশক আবুল খায়ের মিয়া রাজৈর থানায় মামলা করেন।
পর্যায়ক্রমে চারজন কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেন। শেষ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন রাজৈর থানার পুলিশ পরির্দশক একরাম আলী মোল্লা।
দুই বছর ধরে তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৬ অগাস্ট ৩৮ আসামির মধ্যে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মাদারীপুরের হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। এর আগেই অবশ্য মারা যান ছয় আসামি।
আর অভিযোগপত্রভুক্ত ৩২ আসামির মধ্যে চারজন বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এছাড়া অভিযোগপত্রের আরো দুইজন মারা যান অসুস্থ হয়ে।
মামলায় বিচারের মুখোমুখি হওয়া ২৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন পলাতক। ১২ জন হাই কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। মাত্র একজন রয়েছেন কারাগারে।
মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ৩৬ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক।
এ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলাটির নথিপত্র ২০০৮ সালে মাদারীপুরের আদালত থেকে ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়।
কিন্তু দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নির্দিষ্ট সময়ে মামলার নিষ্পত্তি না হলে নথিপত্র পুনরায় মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আবারও মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে।
হাই কোর্টের আদেশে বেশ কিছুদিন মামলাটির বিচার স্থগিতও ছিল।