তবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি, ওয়েবসাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত তাদের নয়। কে, কেন ওই ওয়েবসাইটগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল, এক দিন পর কেন সেগুলো আবার খুলে দিতে বলা হল, সেসব প্রশ্নের উত্তরও মেলেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে।
ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও আইএসপিগুলো রোববার সন্ধ্যায় নির্দেশনা পাওয়ার পর ওয়েবসাইট বন্ধের কাজ শুরু করে। সোমবার দিনের বেলায় ৫৮টি পোর্টালের বেশিরভাগই খোলা যায়নি।
প্রিয় ডটকম, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর, পরিবর্তন, রাইজিংবিডি, বাংলামেইল সেভেনটিওয়ানসহ বেশ কয়েকটি নিউজ পোর্টাল ছিল এই তালিকায়।
সোমবার সন্ধ্যায় ওয়েবসাইটগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্ধ রাখা সবগুলো ওয়েবসাইট খুলে দেওয়া হচ্ছে।”
বিটিআরসি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে না থাকলে নির্বাচনের ২০ দিন আগে এসব ওয়েবসাইট কেন, কীভাবে বন্ধ করা হচ্ছে- সে প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি সংশ্লিষ্টদের কাছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই বিটিআরসি একই ধরনের কথা বলেছে।
চলতি বছরের ১৮ জুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের লিংক আকস্মিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। কয়েক ঘণ্টা পর তা খুলে দেওয়া হলেও বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সে সময় কোনো কারণ দেখাতে পারেননি।
জহুরুল হক সে সময় বলেছিলেন, ‘সরকারের উপর মহলের নির্দেশে’ তারা ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিস্ময় প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন।