শুধু আইনে দক্ষ হলে হবে না, আচরণেও ভালো হতে হবে: প্রধান বিচারপতি

আইনজীবীদের আইনে দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে আচরণের দিক দিয়ে মার্জিত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2018, 07:31 PM
Updated : 7 Dec 2018, 09:07 PM

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ আইন সমিতি’র ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলনে একথা  বলেন তিনি।

সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারক, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আইন পেশা আন্তর্জাতিকভাবে একটি মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত। একজন আইনজীবীর শুধু আইনের উপর দখল থাকলে চলবে না, পেশাগত আচার-আচরণে সুন্দর হতে হবে।

“সর্বোপরি, তাকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে এবং উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে। কেননা বিচার নিষ্পত্তির সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আর সে কারণেই ব্যক্তিগত স্বার্থের চাইতে আদালতের প্রতি কর্তব্য এবং মক্কেলের প্রতি সেবার বিষয়টিই সবার আগে বিবেচনা করতে হবে।”

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করতেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ হিসেবে আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

“তিনটি অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত ও বিকশিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনকে উদ্বৃত করে তিনি বলেন, “একটি দেশের সরকারের কৃতিত্ব পরিমাপ করার সর্বোত্তম মাপকাঠি হচ্ছে তার বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতা। ন্যায়পরায়ণ প্রশাসন হচ্ছে একটি সরকারের সর্বশ্রেষ্ঠ স্তম্ভ।”

প্রশাসন-আইনের নিরবচ্ছিন্ন এবং সার্বভৌম সম্পর্কের স্বকীয়তা বা স্বাধীনতা কখনোই লঙ্ঘন করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের এ আলোচনা পর্বে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাইমা হক।