ভিকারুননিসা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ২ তদন্ত কমিটি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2018, 06:22 AM
Updated : 4 Dec 2018, 08:12 AM

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার এ দুটি তদন্ত কমিটি করে। দুই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী অধিকারী নামে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী রোববার পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়ন।

সোমবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে।

স্বজনদের দাবি, ওই ঘটনার পর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘটনার তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মো. ইউসুফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

মাউশির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন এবং ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

আর ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের গঠিত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. আতাউর রহমান (অভিভাবক প্রতিনিধি)। এছাড়া তিন্না খুরশীদ জাহান (নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদের অভিভাবক প্রতিনিধি) এবং ভিকারুননিসার শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম।

অধ্যক্ষ মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, নকল করার কারণে ওই শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়।

অরিত্রীকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচণা দিয়েছে কি না- তা তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখবে বলে জানান অধ্যক্ষ।

আর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অভিভাবকরা মিছিল-টিছিল করছেন, বিষয়টা জটিল হয়ে গেল, আমি সেখানে যাচ্ছি। গতকাল শুনেই আমি যথাসম্ভব তথ্য নিয়েছি। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি।

“আমি তাদের বলেছি, আপনারা আইনগত দিকটা দেখেন, কারণ এরমধ্যে ক্রিমিন্যাল ব্যাপার আছে একটা। আর আমরা আমাদের বিষয়টা দেখব।”