ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজের ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2018, 04:38 PM
Updated : 3 Dec 2018, 06:04 PM

অরিত্রী অধিকারী নামে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করে রোববার ধরা পড়েছিলেন বলে বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

স্বজনরা দাবি করেছেন, ওই ঘটনার পর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সেই কারণে এই কিশোরী আত্মহত্যা করেন।

তবে অভিভাবকদের অপমান করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজধানীর নামি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস।

সোমবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিজের কক্ষের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে অরিত্রী আত্মহত্যা করেন বলে তার স্বজন ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “রোববার স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তাকে আর পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। পর দিন তার বাবা-মাকে নিয়ে আসতে বলে।

“অরিত্রী আজ বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে গেলে অধ্যক্ষের কক্ষে বিভিন্নভাবে তাদের অপমান করা হয় এবং অরিত্রীকে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেয়।”

এই ঘটনার পর অরিত্রী বাসায় ফিরে নিজের কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেন বলে সৌমিত্র জানান। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে অরিত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ নাজনীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার সমাজ পরীক্ষা ছিল। অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। কর্তব্যরত শিক্ষক তা ধরে ফেলে।  বোর্ডের নিয়মানুযায়ী, নকল ধরার পর আর পরীক্ষা দেওয়ার বিধান নেই।”

অপমানের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এটি (নকল করা) জানানোর জন্য তার বাবা-মাকে ডেকে আনা হয়েছিল। কোনো অপমান করা হয়নি।”

পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার তাকে টিসি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়ার কথা শুনেছি। এরপরে সে বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা করে।”

“তবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।