সংস্কৃতিমন্ত্রীকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিতে শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং শ্রমমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড, ২০১৮’ এর সুপারিশ উত্থাপন করা হলে মন্ত্রিসভা এই কমিটি গঠন করে দেয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নবম বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। সেজন্য মন্ত্রিসভা কমিটিকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
“এই কমিটি (মন্ত্রিসভা কমিটি) যেটা চূড়ান্ত করবে সেটাই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। যে সুপারিশ এসেছে উনারা তা পর্যালোচনা করবেন।”
পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি বেতনক্রম নির্ধারণে সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, প্রথম তিন গ্রেডে ৮০ শতাংশ এবং শেষের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে ওয়েজবোর্ড কমিটির সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের মূল বেতন ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার, যা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর ধরা হয়।
নবম ওয়েজবোর্ডের প্রধান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর হাতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকে নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এই দাবিতে দীর্ঘ দিন কর্মসূচিও পালন করে তারা।