বাদীর সাক্ষ্যে শুরু গুলশান হামলার বিচার

গুলশানের হলি আটির্জান বেকারিতে হামলার ঘটনায় মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2018, 09:56 AM
Updated : 3 Dec 2018, 10:33 AM

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমানের আদালতে সোমবার বাদী এসআই রিপন কুমার দাস সাক্ষ্য দেন।

বেলা ১২টা থেকে এক ঘণ্টা এজাহারের সমর্থনে জবানবন্দী দেন রিপন কুমার।

জবানবন্দীর পর তাকে আসামি রাকিবুল হাসান রিগান এবং অন্য একজনের পক্ষে জেরা শুরু করেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।

সাক্ষ্য শুরুর প্রথমদিন আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের

বাদীকে এক ঘণ্টা জেরার পর বিচারক মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন রাখেন।

এদিন দুইজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আদালতে উপস্থিত থেকে বিচারকাজ দেখেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আসামিদের মধ্যে নব্য জেএমবির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগরকে আদালতে হাজির করা হয়।

বাকি দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনকে পলাতক।

২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এ আইনে।

সাক্ষ্য শুরুর প্রথমদিন আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ তরুণের ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ তরুণ - রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির গত ২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

চিহ্নিত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ২৬ নভেম্বর বিচারক মো. মুজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে ৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছিলেন।