রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে ডিএসসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, মশা নিধনে ডিএসসিসির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
“যদি কোনো এলাকায় কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অবহিত করলে অনুমতি সাপেক্ষে বাসায় গিয়ে স্প্রে করতে বাধ্য থাকবে।”
মেয়র বলেন, আর এজন্য স্থানীয় কাউন্সিলর, মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট যে কোনো কর্মকর্তাকে ফোন করে মশার উপদ্রবের কথা জানাতে পারেন নগরবাসী।
এবার আগাম বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন দাবি করেন, একাধিকবার ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নেওয়ার কারণে মশা ‘মোটামুটি’ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে।
মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির কার্যক্রমে নগরবাসীকেও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানান মেয়র। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিএসসিসির পাঁচটি অঞ্চলে রোববার থেকে এ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তাদের নম্বরে ফোন করেও মশা মারার অনুরোধ জানাতে পারেন। নির্বাহী কর্মকর্তাদের নম্বর সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, পাঁচটি অঞ্চলের ৫৭টি ওয়ার্ডে তাদের ৩৬৭ জন মশক নিধন কর্মী কাজ করবেন। এ কাজে ৩২৪টি হস্তচালিত, ২৪৭টি ফগার এবং ২০টি হুইল ব্যারো মেশিন ব্যবহার করা হবে।
অন্যদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফিজুর রহমান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমএ হামিদ, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ সালাহউদ্দীন ও সচিব শাহাবুদ্দিন খান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।