ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার তা গ্রহণ করে আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুলকে এদিন কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে উদ্যোগী হওয়ার মধ্যে টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে দেড় মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল।
ওই ঘটনায় সারাদেশজুড়ে মইনুলের বিরুদ্ধে অন্তত ২২টি মানহানির মামলা হয়।
মইনুল কারাগারে যাওয়ার পরদিন ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
১৬ দিন তদন্ত শেষে গত ৮ নভেম্বর গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ওই অভিযোগপত্রটি বৃহস্পতিবার আমলে নেওয়ার জন্য আদালতে উঠলে মইনুলের পক্ষে জামিন চান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করার পাশাপাশি তিনি শুনানিতে বলেন, “বক্তব্য টেলিভিশনে দেওয়া হয়েছে, এটা ডিজিটাল ডিভাইস না। এ ব্যাপারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হতে পারে না।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, “আমাদের জামিন আবেদনের কপি দেওয়া হয়নি। এছাড়া আমরা মামলার কেস ডকেটও পাইনি। তাই আমরা মামলা পর্যালোচনা করতে পারিনি। আমাদের সময় প্রয়োজন।”
তখন বিচারক জগলুল হোসেন আসামি মইনুলের জামিন আবেদনের পুনঃশুনানির জন্যও আগামী ৩ জানুয়ারি তারিখ রাখেন।