বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার তার জামিন মঞ্জুর করে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “শুনানি করে আদালত খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করে তাকে জামিন দিয়েছেন। এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”
গত ১৩ সেপ্টেম্ববর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম সামছুল আলম এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের পৌর এলাকার হায়দারপুল এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ২০ দলের স্থানীয় ৩২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।