বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও পাবেন ৫% সুদের গৃহঋণ

সরকারি চাকরীজীবিদের মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও গৃহ নির্মাণে ৫ শতাংশ সরল সুদে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2018, 03:50 AM
Updated : 28 Nov 2018, 03:50 AM

এই ঋণ দিতে নতুন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে অর্থ বিভাগ গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে এক চিঠিতে বলেছে, নীতিমালা প্রস্তুতের পর এই ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

মেয়াদের একেবারে শেষে এসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এই উদ্যোগের কথা জানালো।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণের আওতায় আনার জন্য সরকার ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে একটি পৃথক নীতিমালা প্রস্তুতের কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।

“এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রস্তুতের পর সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।”

সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই ঋণের আওতায় ছিলেন না।

এ কারণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এক চিঠিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এ ঋণের আওতায় আনতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে অনুরোধ করে।

ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই ঋণের আওতায় আনা যায় কি না- তা ভেবে দেখতে অর্থ সচিবকে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। তার জবাবেই অর্থ বিভাগ গত সোমবার নীতিমালা তৈরির কাজ চলার কথা জানায়।

ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে।

চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। ঋণ পাওয়ার আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ধরা হয়েছে ৫৬ বছর। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ অর্থাৎ, চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। সুদের বাকি অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসাবে পরিশোধ করবে।