একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
Published : 21 Nov 2018, 05:18 PM
বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে বরাদ্দ না করার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, “পুরনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করায় বাধা না থাকলেও নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। কেউ কোনো ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করতে পারবেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কাজ করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তাহলে আচরণ বিধির লঙ্ঘন হবে।
নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সংসদ উপনেতাসহ অন্যরা নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা অনুদান বা সহায়তা দিতে পারেন না।
বর্তমান ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, তবে তিন মাসের ক্ষণ গণনা শুরু হলে সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
সংসদ অকার্যকর থাকলেও মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়মিতই হচ্ছে এবং এটাকে সরকারের রুটিন কাজ হিসেবেই বর্ণনা করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, ক্ষমতাসীনরা সরকারি সুবিধা কাজে লাগিয়ে নানাভাবে প্রভাব সৃষ্টি করছেন, যা নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির পথে অন্তরায়।
নির্বাচনী আইন ব্যাখ্যা করে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, যেসব প্রকল্প আগেই নেওয়া হয়েছে, সেগুলো চালিয়ে নিতে আইনে কোনো বাধা নেই।
“ভোটকে কেন্দ্র করে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, ভিজিডি প্রদান বা টিন (ঢেউ টিন) দেওয়া, ভিজিএফ কার্ড দেওয়া, মানুষকে সহযোগিতা করা- এগুলো যাতে না করা হয়।”
আগে নেওয়া কোনো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর এখন স্থাপন করা যাবে কি না জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন বলেন, “কোনো প্রকার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা যাবে না। চাঁদা দেওয়া, মসজিদ, মন্দিরে চাঁদা দেওয়া- কিছুই করা যাবে না।”