কর্মব্যস্ত ঢাকায় বাবা-মায়ের ফুরসত না মেলায় খুপড়ির মতো ভ্যানে চড়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসা নিয়ে ‘বিদ্যালয়ের পথে শিশুর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
নাফিয়া ছাড়াও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতার সাইট ‘হ্যালো’র তিন শিশু সাংবাদিক পৃথা, রিয়াদ ও পম্পাও এবার পুরস্কার পেয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ১৪টি ক্যাটাগরিতে ৫০ জন গণমাধ্যমকর্মীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।
এ বছর ৮৫০ জন অংশগ্রহণকারী মধ্য থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রাথমিকভাবে ৮৫ জনকে বাছাই করা হয়। তাদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হল।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, “মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে পাই সৃজনশীল ও মননশীল চিন্তার জায়গা আরও প্রসারিত হচ্ছে। তরুণদের চিন্তার জগতে এ অ্যাওয়ার্ড একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে, যার ফলে আগামীতে তারা বিভিন্ন জায়গাকে আলোকিত করবে।
“এতো সুন্দর করে গুছিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে যে, আমরা আসলে বুঝতে পারি না কাকে ছেড়ে কাকে বাদ দিব।”
এখনকার পুরস্কার বিজয়ী তরুণরাই আগামী দিনের সাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘শিশুদের যুদ্ধের হাতিয়ার আর নয়’ শিরোনামে প্রতিবেদন লিখে পুরস্কার পেয়েছেন হ্যালোর শিশু সাংবাদিক বগুড়ার ফাহিম আহমেদ রিয়াদ। প্রথম পুরস্কার হিসেবে তিনি ৫০ হাজার টাকা, সনদ ও ক্রেস্ট পেয়েছেন।
‘টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব’ শিরোনামে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন হ্যালোর শিশু সাংবাদিক পৃথা প্রণোদনা। তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ১৫ হাজার টাকা, সনদ ও ক্রেস্ট পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া ‘বাল্যবিয়ে; একজন কল্যাণীর গল্প’ শিরোনামে সংবাদ লিখে ভিজুয়াল মিডিয়া বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন পম্পা সরকার। তাকে দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা, সনদ ও ক্রেস্ট।
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ওয়ারফেইজ সঙ্গীত পরিবেশন করে।