গুলশান-বাড্ডা লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

গুলশান-বাড্ডা লেক সংলগ্ন গুলশান-১ বরাবর রাস্তায় স্থায়ীভাবে পাকা বাঁধ নির্মাণ না করা পর্যন্ত পুলিশ প্লাজার পেছন থেকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডের দিকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2018, 04:47 PM
Updated : 19 Nov 2018, 04:47 PM

সেই সঙ্গে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে পাকা বাঁধ না দিয়ে এবং গুলশান-বাড্ডা লেকের ১৩৬-১৪৩ নম্বর ওয়াকওয়ে সংস্কার বা মেরামত না করে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

গুলশান-বাড্ডা লেকের ওয়াকওয়ে সংলগ্ন গুলশান-১ ওই রাস্তা স্থায়ীভাবে সংস্কার বা মেরামত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এবং ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপ, পুলিশ প্রধান, ডিএমপি কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদির বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ জনস্বার্থে হাই কোর্টে এ রিট আবেদন করেন। তিনি নিজেই আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

শুক্লা সারওয়াত পরে সংবাদিকদের বলেন, পাকা বাঁধ না দিয়ে অবাধে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলে লেকের পাড় যেমন ধসে যাচ্ছে, তেমনি লেকের ওয়াকওয়ে সংলগ্ন যেসব আবাসিক বা অনাবাসিক ভবন আছে সেগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

“এখনি এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ না নিলে লেক এবং লেকের পাড় ধ্বংসের মুখে পড়বে। এ দাবিতেই রিটটি করা হয়েছিল। আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।” 

রিটকারী এ আইনজীবী বলেন, লেকের পাড় বাঁধানো এবং ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ করতে গুলশানের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালানো হয়। তার ফলে কিছুদিন ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

কিন্তু লেকের পাড় না বেঁধে এবং ওয়াকওয়ে সংস্কার না করে আবারও ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো শুরু করা হলে হাই কোর্টে  তারা রিট আবেদনটি করেন।