গেণ্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) রাতুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, শিশুটিকে কে ওই বাসার সামনে রেখে গেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্বামীবাগের ৩৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা রোমেনা আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি দরজার সামনে হলুদ- নীল রংয়ের একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন।
“মনে হল ব্যাগের ভেতর কিছু একটা নড়াচড়া করছে। প্রথমে মনে হয়েছিল বিড়ালের বাচ্চা। কিন্তু খুলে দেখেই চমকে যাই, একটা ছেলে, নবজাতক!”
পরে অন্যদের সহায়তায় রোমেনা আক্তার শিশুটিকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। সেখানে ভর্তির পর দেখা যায় শিশুটির ওজন ৭৯০ গ্রাম। মাথায় আঘাতের চিহ্ন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভর্তির পরপরই ডাক্তারা জানিয়েছিলেন, বাচ্চাটার অবস্থা ভাল না। তারপরও তারা বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বেলা ২টার দিকে বাচ্চাটা মারা যায়।”
শিশুটির নাভিতে ক্লিপ লাগানো ছিল বলে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তারদের ধারণা, কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতালেই তার জন্ম হয়েছে।
পরিদর্শক রাতুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই এলাকার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে তারা খোঁজ নিয়ে দেখছেন।