ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের কাজে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2018, 03:49 AM
Updated : 15 Nov 2018, 03:49 AM

এ সংক্রান্ত আদেশ বুধবার সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভোটের দায়িত্বে থাকা সব রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।”

৩০ ডিসেম্বর ভোট রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।

এ নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক মিলিয়ে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে ৫৮১ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন। সেই সঙ্গে ইসি সচিবালয় এবং মাঠ পর্যায়ে (আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা) ৫১৮টি নির্বাচন অফিস রয়েছে। ভোট পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ইসির উপ সচিব আতিয়ার রহমান জানান, আগাম প্রচারের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনসহ সব সামগ্রী ১৮ নভেম্বর মধ্য রাতের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে।

“সম্ভাব্য প্রার্থীরা ওই সময়ের মধ্যে নিজেদের খরচে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী না সরালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার জরিমানার পাশাপাশি প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির হাতে।

আর রাজনৈতিক দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

ওয়াজ-মাহফিলে প্রচার নয়

ভোটের মৌসুমে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার যাতে না করা হয় সে বিষয়েও একটি নির্দেশনা জারির পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।

কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বছরের শেষে শীত মওসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিলসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়। সংবেদনশীলতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখা হবে।

আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, মসজিদ-মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসানালয়ে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। সেই সঙ্গে ভোটের প্রচারে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেওয়া, উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আচরণবিধিতে।