গম আত্মসাতে অভিযুক্ত কোস্টগার্ডের প্রথম মহাপরিচালক

সাড়ে সাত কোটি টাকার গম আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার ২০ বছর পর বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রথম মহাপরিচালক কমোডর শফিক-উর-রহমানের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2018, 03:24 PM
Updated : 14 Nov 2018, 04:35 PM

ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব বাংলাদেশ বুধবার শফিক-উর-রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শফিক-উর-রহমান কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত।

ওই সময় কোস্টগার্ডের নামে বরাদ্দ গম বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ২ অগাস্ট শফিক-উর-রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা করেন তখনকার দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সাবেক কমর্কর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর বছর দুই আগে এ মামলা গতি পায়; ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন শফিক-উর-রহমান।

দুদকের সহকারী পরিচালক খন্দকার আখতারুজ্জামান এ বছর ৮ জুলাই আদালতে যে অভিযোগপত্র দেন, তাতে সাবেক কমোডর শফিককে একমাত্র আসামি করে বাকি চারজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। 

এর মধ্যে কোস্ট গার্ডের তখনকার কমান্ডার এমএম রহমান মারা যাওয়ায় এবং অভিযোগের সঙ্গে তখনকার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাশেদ তানভীর, লেফটেন্যান্ট এম আশরাফুল হক এবং লেফটেন্যান্ট (বর্তমানে ক্যাপ্টেন) এম সালেহ উদ্দিনের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ মনসুর রিপন ও মো. শফিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে শফিক-উর-রহমানের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশে বাকি চারজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো শফিককে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯৬-৯৭ ও ৯৭-৯৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কোস্ট গার্ডের নামে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করে। দুর্নীতির মাধ্যমে ওই গম বিক্রি করে ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়।