মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা: প্রেক্ষিত প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন’ শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
অনুষ্ঠান আয়োজকদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক।
পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান খলীকুজ্জমান বলেন, “আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা নিয়ে সন্দেহ আছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও নেপথ্যের অনেক রাজনীতি এর মূল নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে।
“আমাদেরকে তাই নিজস্ব সক্ষমতার উপর নির্ভর করে তৈরি হতে হবে, বাইরের সহায়তা আসলে ভাল।”
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের অন্যতম শিকার বাংলাদেশ। বিশ্বে এ বিষয়ক আলোচনা ও দর কষাকষিতেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে কপ-টোয়েন্টিফোর সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, আসন্ন কপ-টোয়েন্টিফোরে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্যারিস রুল বুক গ্রহণ করা হবে।
“অর্থ, প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে যথাযথ আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সুবিধা যেন বাংলাদেশ পায় এই রুল বুকে তা অন্তর্ভূক্তির জন্য সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।”
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ , পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান, পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস আইনুন নিশাত।
আগামী ডিসেম্বরে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের অন্তর্গত কার্যক্রম হিসেবে কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ।
এবারের সম্মেলনে প্যারিস চুক্তিতে ২০২০ সালের লক্ষ্য অর্জনে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছিল, তার আলোকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চাপ দেওয়ার সুযোগ দেশগুলো নেবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
১৯০টি দেশ থেকে এবার এই সম্মেলনে যোগ দেবে ২০ হাজার অংশগ্রহণকারী।
ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তিকে প্রথমেই যে কয়টি দেশ অনুসমর্থন করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩০ লাখ ছিল ধরে নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক বলছে, এর মধ্যে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে রয়েছে।