মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংবাদ সম্মেলনে পর্ষদ চেয়ারম্যান লায়লা হাসান এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, “নারীদের হাতে কৃষি সভ্যতার শুরু আজ থেকে প্রায় ৩০-৫০ হাজার বছর আগে। তখন থেকেই ফসল তোলার উৎসব শুরু, যা বাঙালির কাছে নবান্ন উৎসব হিসেবে পরিচিত।”
বাংলা অগ্রহায়ন মাসে নতুন ফসল তোলা ঘিরে বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ও আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর যে উৎসব তা জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং বিপন্ন লোকজ ঐতিহ্য, কৃষ্টি সংরক্ষণ ও নাগরিক মানুষের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার তাগিদ থেকেই ১৯৯৮ সাল থেকে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে বলে লায়লা হাসান।
পহেলা অগ্রহায়নের কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি জানান, ১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলায় সকাল ৭টা ১ মিনিটে বাঁশির সুরে উৎসব শুরু হবে। এরপর সকাল ৯টায় হবে নবান্ন শোভাযাত্রা।
এছাড়া অন্যান্য বছরের মতো এবারের উৎসবে নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, নবান্ন কথন, যন্ত্র সঙ্গীত, আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিশু চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন বিষয় থাকছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পর্ষদের উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম, কো চেয়ারম্যান বাবুল বিশ্বাস, পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাসান সুজা, সদস্য আবুল ফারাহ পলাশ রেজিনা ওয়ালী লীনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।