ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. বজলুর রহমান সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন- কেরানীগঞ্জের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শফিউদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন, তাদের ভাই সালাউদ্দিনের ছেলে সুমন এবং তমিজউদ্দিনের ছেলে জসীম উদ্দিন ও অসিম উদ্দিন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া দণ্ডবিধির আরেকটি ধারায় আসামিদের সবাইকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ আদালতের পেশকার আমিনুর রহমান জানান, মামলার অপর আসামি সালাহউদ্দিন বিচার চলাকালেই মারা যান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ থানার জয়নগরে নিজের বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন মোস্তফা এবং তার দুই শ্যালক হায়দার আলী ও রবি হোসেন। আসামিরা রামদা, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে।
গুরুতর আহত মোস্তফাকে প্রথমে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী সাজেদা খাতুন।
ঘটনাটি তদন্ত করে ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর সিআইডির পরিদর্শক আবুল হাশেম ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে এসে ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি ‘রাজনৈতিক মামলা’ বিবেচনায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ঢাকা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস মন্ত্রণালয়ের আদেশসহ মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করে আদালতে।
কিন্তু বাদীপক্ষের নারাজি আবেদনে আদালত মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে আসামিপক্ষ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গেলেও বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। এরপর আবার এ মামলার বিচার শুরু হয় বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম জানান।