দেড় বিঘা জমি ফিরে পেল ঢাকেশ্বরী মন্দির

সাতচল্লিশের দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে বেহাত হয়ে যাওয়া ২০ বিঘা জমির মধ্যে দেড় বিঘা ফিরে পেয়েছে ঢাকেশ্বরী মন্দির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2018, 01:30 PM
Updated : 10 Nov 2018, 01:30 PM

শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন মন্দিরের মোট জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬.১ বিঘা।

 “২০ বিঘা জমির মধ্যে আমরা পাঁচ বিঘার কিছু বেশি জমি ভোগ করছিলাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরো দেড় বিঘা পেলাম আমরা। সেখান থেকে বিভিন্ন  স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিমের দেড় বিঘা জমি আমরা ফিরে পেয়েছি।”

অবশিষ্ট ১৩.৯ বিঘা জমি ফিরে পেতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

তিনি জানান, মন্দিরের ভূমি সমস্যা নিয়ে ১৯৬৩ সালে দায়ের হওয়া এক মামলার কার্যক্রম চলছে এখনও। নাভানা গ্রুপের দখলে থাকা দুই বিঘা জমি ছাড়াও পাকিস্তান আমলে মমিন মোটরসের দখলে থাকা তিন বিঘা জমি নিয়ে মামলা নিয়ে লড়াই করছে পূজা উদযাপন পরিষদ।

ঢাকেশ্বরী দেবীর প্রতিমা যেখানে স্থাপিত সেসব জায়গা ঘিরে ভাওয়াল রাজা শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুরের আমলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য ২০ বিঘা জায়গা দেবোত্তর ভূমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়।

দেশে আনুষ্ঠানিক ভূমি জরিপ শুরু হলে মন্দিরের পুরো জায়গা দেবোত্তর ভূমি হিসেবে ঢাকাস্থ মৌজায় সিএস ৩০ থেকে ৪৩ নম্বর দাগে রেকর্ডভুক্ত হয় এবং নকশায় স্পষ্ট করে পাকা পিলারসহ সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর পাকিস্তান আমলে অনুষ্ঠিত এসএ জরিপে লালবাগস্থ মৌজায় ৯৪-৯৭ ও ১০১-১১৭ নং দাগগুলো এসএ রেকর্ডভুক্ত হয়।

নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, দেবোত্তর ভূমি জবরদখল করে অবৈধ বস্তি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় সরু পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়, এতে মন্দিরের পবিত্রতা যেমন নষ্ট হয়, তেমনি ভক্ত, পর্যটক, এমনকি সরকার, রাষ্ট্র ও বিদেশি দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তাও ক্ষুণ্ন করা হয়।