পাঠাওকে উকিল নোটিস

ভাড়া নিয়ে অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার সেবা ‘পাঠাও লিমিটেড’ এর বিরুদ্ধে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2018, 10:04 AM
Updated : 7 Nov 2018, 10:04 AM

রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা মো. আফজাল হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বুধবার ওই নোটিস পাঠান।

পাঠাও সেবার ভাড়া কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং তা কোন আইন বলে, তা তিন দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে নোটিসে।

সেটি পাঠানো হয়েছে পাঠাও লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন এম ইলিয়াস এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সিফাত আদনানের নামে।

সেখানে বলা হয়েছে, আফজাল হোসেন পাঠাওয়ের অ্যাপে বাইকে করে বাংলামোটর থেকে শেওড়াপাড়া যাওয়ার তথ্য দিলে তাকে ডিসকাউন্ট বাদ দিয়ে ১০৫ টাকা ভাড়া দেখানো হয়। কিন্তু গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পর চালক তার কাছে ১৭৩ টাকা দাবি করে। আফজাল বাধ্য হয়ে তা পরিশোধ করেন।

“কিছুদিন পরে ফের এ রকম ঘটনা ঘটে। ১২১ টাকা নিশ্চিত করে রোকেয়া স্মরণি থেকে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে যাওয়ার পর চালক ১৪৯ টাকা দাবি করেন। সেদিনও বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।”

উকিল নোটিসে বলা হয়, “পাঠাও নিয়মিতভাবে তাদের চালকদের দিয়ে যাত্রীদের এই কৌশলে হেনস্তা করে বেআইনিভাবে বাড়তি ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।”

নোটিসপ্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি চালকদের ‘অন্যায় দাবির বিষয়ে’ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছ নেটিসে।

আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাঠাওয়ের নির্ধারিত রুটে একেক সময় একেক ভাড়া প্রদর্শন করে। আমি দেখেছি, যানজট না থাকার পরও বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে।”

একটি টেলিভিশন স্টেশনে কর্মরত আফজাল বলেন, “বিভিন্ন সময় যাতায়াতে কেন বেশি ভাড়া এসেছে, কোনো চলকই তার সদুত্তর দিতে পারেনি। এ কারণে আমার মনে হয়েছে ভাড়া নির্ধারণে এক ধরনের কারচুপি হচ্ছে। যা ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা।

“তাছাড়া পাঠাও কীভাবে, কোন আইন বা কোন নীতিমালায় ভাড়া নির্ধারণ করছে, সে বিষয়টিও ভোক্তার স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিৎ। এসব বিষয় বিবেচনায় আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে যথাযথ জবাব না পেলে ভোক্তা অধিকার আইন ও ফৌজদারী আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পাঠাওয়ের ওয়েবসাইটে ‘ভাড়া’ সংক্রান্ত যে তথ্য দেয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে ‘প্রতিটি পাঠাও বাইক রাইডের প্রাথমিক ভাড়া ২৫ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১২টাকা হারে হিসাব হবে এবং প্রতি মিনিট ওয়েটিং চার্জ ০.৫ টাকা।

ঢাকায় পাঠাও কার প্রতি কিলোমিটারের জন্য ২০ টাকা হারে হিসাব হবে এবং প্রতি মিনিট ওয়েটিং চার্জ ২.৫ টাকা।

চট্টগ্রামে পাঠাও কার রাইডের প্রাথমিক ভাড়া ৭০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ২৫ টাকা হারে হিসাব হবে এবং প্রতি মিনিট ওয়েটিং চার্জ ৩টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ১০০ টাকা।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, “আপনার ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা কেবল তখনই থাকে যদি আপনি নির্ধারিত দূরত্বের চেয়ে দীর্ঘ দূরত্বে যান, অথবা রাস্তায় থামেন অথবা ট্র্যাফিকের কারণে আপনার ট্রিপ-এ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লাগে।”