রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আগামীকাল মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটা যদি অনুমোদন হয়ে যায়, তাহলে এটাকে নিশ্চয়ই সংসদে পাঠানো হবে। তবে সংসদ শেষ হয়ে গেলে এটা (আরপিও) পাস করানো সম্ভব না।”
এর আগে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও জাতীয় নির্বাচনে কখনোই তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছেন, তিনি চান এভিএম ব্যবহার হোক।
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও গত ৩০ অগাস্ট নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইসি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আরপিও সংশোধনে ইসির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে আইন মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিসভায় তোলার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। সোমবার তা তোলা হবে।
পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সোমবারই যেহেতু সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেহেতু প্রক্রিয়াগত কারণে নির্বাচনের আগে আর এ আইন পাস হওয়ার সুযোগ তিনি দেখছেন না।
অবশ্য সরকার চাইলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করতে পারে। সেক্ষেত্রে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বাধা থাকবে না।
সেরকম কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না- তা স্পষ্ট করেননি আইনমন্ত্রী আনিসুল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আগামীকাল মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা চাওয়া হবে, মন্ত্রিপরিষদ যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ এর প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করেই এটা পাস করাতে হবে।”
ইভিএমের বিরোধিতা করে আসা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববারও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ভোট জালিয়াতি’ করতেই নির্বাচন কমিশন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন চালুর তোড়জোড় শুরু করেছে।
অন্য দিকে খুলনায় ইভিএম মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, এই যন্ত্রে কোনোভাবেই ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। যারা এ যন্ত্রের বিরোধিতা করছেন, তারা তা করছেন ‘না জেনে’।