জাবালে নূরের মালিক-চালকসহ ৬ জনের বিচার শুরু

বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই মালিক, দুই চালক ও দুই সহকারীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2018, 06:45 AM
Updated : 25 Oct 2018, 08:16 AM

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১ নভেম্বর তারিখ রাখেন।

ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূরের একটি বাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, তার হেলপার  মো. এনায়েত হোসেন এবং আরেক বাসের চালক মো. জোবায়ের সুমন অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জোবায়ের সুমন যে বাসের চালক ছিলেন, তার মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং হেলপার মো. আসাদ কাজীকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হচ্ছে। 

কাঠগড়ায় উপস্থিত চার আসামি অভিযোগ গঠনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

তাদের পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হলেও বিচারক তা নাকচ করে দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

এর মধ্যে ৩০৪ ধারায় অপরাধজন প্রাণনাশের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। আর ২৭৯ ধারায় বেপরোয়া চালনার জন্য তাদের ৩ বছরের সাজা হতে পারে।

গত ২৯ জুলাই কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে জাবালে নূরের দুটি বাস পাল্লা দেওয়ার সময় একটি এমইএস বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো একদল শিক্ষার্থীর উপর উঠে যায়। এতে দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম নামে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়।

এরপর শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে এক সপ্তাহ অচল থাকে ঢাকার সড়ক। শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয় সরকারকে।

ঘটনার দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন নিহত মিমের বাবা দূরপাল্লার বাস চালক জাহাঙ্গীর আলম।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবির পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রে  মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একজন বিচারক তা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন বিচারের জন্য।

আসামিদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।