বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি ভোটার। এরমধ্যে অন্তত ১ কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড বা লেমিনেটেড কোনো ধরনের এনআইডি কার্ড নেই।
২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকায় থাকা ৯ কোটিরও বেশি ভোটারের কাছে লেমিনেটেড কার্ড রয়েছে; তাদেরকে স্মার্টকার্ডও দেওয়া হচ্ছে।
২০১২ সালের পরে ভোটার হওয়া প্রায় কোটি নাগরিকের কাছে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করছে ইসি।
আগামী ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে; এবার ব্যালট পেপারের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে।
বুধবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির যুগ্ম-সচিব ও এনআইডি উইংয়ের পরিচালক মো. আবদুল বাতেন বলেন, “ভোট দিতে এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন নেই। ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই চলবে। ভোটার নম্বর যাচাই করে নাগরিকরা ভোট দিতে পারবেন।”
ইভিএমের বিষয়ে তিনি বলেন, “ইভিএমে ভোট দিতে আঙুলের ছাপ বা এনআইডি নম্বরের প্রয়োজন পড়ে। তবে ভোটার নম্বর থাকলে যাচাই করে ভোট দিতে পারবেন।”
বাতেন জানান, ২০১২ সালের পরে ভোটার হওয়া নাগরিকদের জন্য ৯৩ লাখ লেমিনেটেড কার্ড বিতরণের কাজ চলছে। ভোটের আগেই বাদ পড়া ভোটারদের হাতে লেমিনেটেড কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।
স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযাগ থাকলেও সংসদ নির্বাচনে আরপিও সংশোধনের পর তা ব্যবহার করতে পারবে। এ আইন সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে।
শনিবার ৮টি (খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) অঞ্চলে ইভিএম প্রদর্শনী চলবে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ইভিএম মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিলের পর এনআইডি সেবা বন্ধ
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি, এনআইডি সংশোধন ও স্থানান্তর নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা বন্ধ থাকবে।
এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে এনআইডি উইং।
২৫৪ কোটি টাকা সাশ্রয়
এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিসের সঙ্গে পাওনা পরিশোধে দ্বিপাক্ষিক রফার কারণে ২৫৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর সিইসি ও ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে কোম্পানিটিকে ২২০ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়ে রফা করে ইসি।