মঙ্গলবার সংগঠনটির আহ্বায়ক ও নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সামনে আরেকটি নির্বাচন আসছে। আমাদের আশঙ্কা এই নির্বাচন সামনে রেখে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ের কথা আমরা ভুলিনি।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের পরিস্থিতি সুখকর ছিল না মন্তব্য করে পীযূষ বলেন, “আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো অপশক্তি যেন নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে সেদিকে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতির উদাহরণ এখন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ পরিচয়ে কেউ যাতে নিগ্রহের শিকার না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের আগে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাব। ‘আমার ভোট আমি দেব, তবে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দেব’।”
মঞ্চ-টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের এই অভিনেতা বলেন, চলতি বছরে তিনটি বড় উৎসব ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। এ জন্য সম্প্রীতি বাংলাদেশ দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানায়।
“এসব উৎসবে সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভূমিকা পালনের সাথে সাথে এদেশের অসাম্প্রদায়িক মানুষরা এগিয়ে এসেছে বলে উৎসবগুলোতে কোনো অঘটন ঘটেনি।”
তবে ‘অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র’ এখনও বন্ধ হয়নি বলে মনে করেন নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ।
বুধবার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা এবং ডিসেম্বরে খ্রিস্টানদের বড়দিন নির্বিঘ্নে উদযাপনের আশা রেখে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার, অপসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাব উপস্থিত ছিলেন।