সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি জানানো হয়।
প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলে শিক্ষার্থীরা দাবি তোলার পর গত ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগও পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি।
ছাত্রলীগের চার দাবি হল
১. যাচাই বাছাই সাপেক্ষে পরীক্ষা পুনরায় নেয়া অথবা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসা।
২. ডিজিটাল জালিয়াতি বা প্রশ্নফাঁস বা যে কোন ধরনের অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে জালিয়াতি, প্রশ্নফাঁস বা অসদুপায়ের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. আধুনিক, যুগোপযোগী ও মানসম্মত ভর্তি পরীক্ষার স্বার্থে শিক্ষাবিদ, সিনেট, সিন্ডিকেট, অংশীজন এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পলিসি ডিবেটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সমসময় শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
“আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আর এই দাবিতে আমরা মঙ্গলবার সকালে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো। যদি এটাতে দাবি আদায় না হয় আমরা তীব্র আন্দোলনে যাব।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা চাই এই পরীক্ষা আবার নেওয়া হোক এবং একইসঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার করা হোক।
“যেহেতু বারবার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তাই প্রতীকী হিসেবে এই অনুষদ থেকে মৌন পদযাত্রা করব।”