সোমবার আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
আদালতে জাফরুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম; সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ।
আশুলিয়ায় জমি দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির দুই মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রোববার একই আদালত পুলিশ প্রতিবেদন না হওয়া পর্যন্ত আগাম জামিন দেয়।
জাফরুল্লাহর আইনজীবী এহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটেকমকে বলেন, “গতকাল রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় আজ তিনি ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ বলেন, “পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আগাম জামিনের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। আজকের জামিন আদেশের বিরুদ্ধেও আবেদন করা হবে।”
বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগে রোববার রাতে আশুলিয়ায় থানায় ওই মামলা হয় বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
সৈয়দ সেলিম আহমেদ নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেছেন। সেখানে জাফরুল্লাহকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালামের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীর বাবা আশুলিয়ায় ৭২ বিঘা জমি কিনেছিলেন, যার সিংহভাগ দখল করে নিয়েছেন আসামিরা। জমিতে সাইনবোর্ড থাকলেও ডা. জাফরুল্লাহর নির্দেশে তা ভাঙচুর ও চুরি করে নিয়ে যায় আসামিরা।
সময় টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরেই আলোচনা চলছে বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা হিসেবে পরিচিত জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে। ওই বক্তব্যের জন্য ঢাকায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও হয়েছে।
এছাড়া মোহাম্মদ আলী ও হাসান ইমাম নামে দুই ব্যক্তি জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় দুটি মামলা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।