কুড়িগ্রামের মামলায় মইনুলের আগাম জামিন

ঢাকা ও জামালপুরের পর কুড়িগ্রামের মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2018, 02:30 PM
Updated : 22 Oct 2018, 02:30 PM

টেলিভিশন টক শোতে এক নারী সাংবাদিককে নিয়ে কটূক্তির কারণে আলোচনায় থাকা মইনুল সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।

এই বেঞ্চ থেকেই রোববার জামালপুর ও ঢাকার দুই মানহানির মামলায় পাঁচ মাসের আগাম জামিন পান মইনুল।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুলের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান। খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মাহবুব উদ্দিন খোকনও এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ।

আইনজীবী এহসানুর রহমান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল জামিন আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতা ছিল না। একই অভিযোগের মামলা হলেও আজকের জামিন অবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে দীর্ঘ শুনানি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব। পরে আদালত ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন।”

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে মইনুল হোসেন (ফাইল ছবি)

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপিল বিভাগের নির্দেশনা আছে, যে কোনো মামলায় আসামির জামিন আবেদনে আদালত সন্তুষ্ট হলে চার সপ্তাহের জামিন পেতে পারে। আজ মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল দীর্ঘ শুনানি করে বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানতে নিম্ন আদালতগুলোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরে আদালত ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।”

এদিকে রোববার দুই মামলায় মইনুল হোসেনের পাঁচ মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি।

 মাকসুদা বেগম বেবী নামের এক আইনজীবী রোববার কুড়িগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মানহানির অভিযোগ এনে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয় সেখানে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মইনুলের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। তাকে ২২ নভেম্বর আমলি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর ৭১ টিভির আলোচনা অনুষ্ঠান ‘একাত্তর জার্নালে’ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। তার ওই ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য সমগ্র নারীসমাজের ‘সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন’ করেছে।