এবার ‘ঘ’ ইউনিটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ স্বীকার করার পরও ফল প্রকাশ করায়ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার নতুন এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হল।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের এইকমিটিকে অধিকতর তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে দুই সপ্তাহ সময়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক,সিন্ডিকেট সদস্য বাহলুল মজনুন চুন্নু, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীমসরকার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
গত বছরও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলে এই পাঁচজনকেনিয়েই তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তাদের সেই তদন্তের প্রতিবেদন এক বছরেও আলোর মুখদেখেনি৷
এবার গত ১২ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন ফাঁসেরঅভিযোগ ওঠার পর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তিনসদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা স্বীকার করেনিলেও ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার ফল প্রকাশ করে।
তারপর থেকে এই পরীক্ষা বাতিল এবংদোষিদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ব্যানারে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। তার মধ্যে উপাচার্যঅধ্যাপক আখতারুজ্জামান নতুন কমিটি গঠন করেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সত্য উদঘাটন এবং দায় দায়িত্বনির্ধারণ, এগুলো লাগবে তো। সেজন্যই নিবিড় তদন্তের লক্ষ্যে এই কমিটি।"
আগের কমিটির সঙ্গে নতুন এই কমিটির পার্থক্য কী- জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন,“মূল পার্থক্য হচ্ছে এটা তো নিবিড়।
“আগের (কমিটিতে) তো অভিযোগের তাৎক্ষণিক বিষয়টা আর ফলাফল প্রকাশের জন্যসুনির্দিষ্ট ছিল। এটা হলো নিবিড় বলতে যেটা বোঝায় ইনডেপথ, কার দায়িত্ব কতটুকু, দোষীকারা, এই সত্য উদঘাটন করা।"
তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলাকালে ভর্তি চলবে কি না- জানতে চাইলে অধ্যাপকআখতারুজ্জামান বলেন, “এটা দেখা যাক। বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করে নেই। বিভিন্নফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত লাগবে তো।”
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ফল প্রকাশ হলেও ভর্তির সময়যাচাইয়ের সময় কেউ ধরা পড়লে ভর্তি বাতিল করা হবে।