এখন থেকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রাণিসম্পদ, শিল্পস্থাপনা বা অনুসন্ধান বিষয়ক পরামর্শ সেবা দিয়ে সরকার নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ করতে পারবেন।
জাতীয় সংসদের রোববারের অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বিলটি প্রস্তাব করলে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলটির সম্পর্কে আণীত সংশোধনী ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন হলে তা তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিদ্যমান অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে প্রণীত ওই বিলে মৎস্য সম্পদ চিহ্নিত করণ, সংরক্ষণ, চাষ ও উৎপাদনের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান মানুষের প্রাণিজ পুষ্টি চাহিদা পূরণে মৎস্য সম্পদের উপর গবেষণা করতে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে নতুন ৪টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এরমধ্যে ধারা-৮ এ বোর্ডের কার্যাবলী এবং ধারা-২১ এ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীর দেওয়া পরামর্শ বাবদ অর্জিত ফি ও এর ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বিলটির উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার প্রাণিজ আমিষ যথা ডিম, দুধ এবং মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এজন্য গবেষণার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞান উদ্ভাবনের জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আরো সক্রিয় ও সক্ষম করা প্রয়োজন।