বিএসটিআই বিল সংসদে উত্থাপিত

আইন লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে উত্থাপিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বিল ২০১৮’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2018, 02:54 PM
Updated : 21 Oct 2018, 02:54 PM

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু রোববার বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা করে সংসদে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৮৫ সালের  স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন অধ্যাদেশটি যুগোপযোগী করতে এই আইনটি করা হচ্ছে।

এই আইন পাস হলে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য বিদেশের বাজারেও প্রতিযোগিতায় গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে বলে আশা সরকারের।

বিলে একটি ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, যার প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়।

প্রস্তাবিত আইনে লাইসেন্স ব্যতিরেকে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউশনে সদৃশ কোনো মার্ক বা ট্রেড মার্ক ব্যবহার করা যাবে না। এসব অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

মৎস্য সঙ্গনিরোধ বিল উত্থাপিত

দেশে বিপজ্জনক মৎস্য প্রজাতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জাতীয় সংসদে মৎস্য সঙ্গনিরোধ বিল ২০১৮ উত্থাপিত হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ রোববার বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

মাছ আমদানির সময় কোনো ক্ষতিকারক জীবাণু যাতে না আসে, তা ঠেকাতে এই নতুন আইনটির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে একটি সঙ্গনিরোধী কর্তৃপক্ষ হবে, মৎস্য অধিদপ্তর এই দায়িত্ব পালন করবে।

অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে মৎস্যের রোগ-জীবাণু অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধকল্পে মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির আমদানি নিয়ন্ত্রণ করাসহ কর্তৃপক্ষকে ১০টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আপিল করতে পারবে যা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে মৎস্য বলতে সব ধরনের কোমল ও কঠিন অস্থিবিশিষ্ট মাছ, স্বাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক বা ঝিনুক জাতীয় জলজ প্রাণী, ব্যাঙ বা সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত জলজ প্রাণীকে বোঝাবে।

প্রস্তাবিত আইনের অধীনে অনুমতি ছাড়া মৎস্যপণ্য আমদানি করলে সর্বনিম্ন এক বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

সংসদে রোববার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলও উত্থাপন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এটিও পরীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই ইনস্টিটিউট ১৯৮৪ সালের একটি অর্ডিন্যান্স দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধান সদর দপ্তর ময়মনসিংহে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এটি একটা কাউন্সিলের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ইনস্টিটিউটে একজন মহাপরিচালক থাকবেন, যিনি এর সার্বক্ষণিক নির্বাহী প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।

ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী পদাধিকার বলে এই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তারা হবেন ভাইস চেয়ারম্যান।

স্পিকার মনোনীত দুজন সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মহাপরিচালক এর সদস্য থাকবেন। ইনসিটটিউটের মহাপরিচালক বোর্ডের সদস্য সচিব হবে।

প্রস্তাবিত আইনে ইনস্টিটিউটে কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা তদুর্ধ্ব পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মৎস্য শিল্প স্থাপন বা অনুসন্ধান বা পরামর্শ দিলে বোর্ড নির্ধারিত হারে ফি প্রাপ্য হবে।

শিশু একাডেমি বিল  উত্থাপিত

সংসদের রোববারের অধিবেশনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বিল উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে দুই দিনের দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় এই আইনটি করার অনুমোদন দেয়।

নতুন আইনে শিশু একাডেমির বর্তমান পরিচালক পদটি মহাপরিচালক পদে উন্নীত হবে।