৮ নভেম্বরের মধ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা চেয়েছে ইসি

একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য লাখো ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত করে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2018, 04:38 PM
Updated : 18 Oct 2018, 04:38 PM

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পরই এ নির্দেশনা দেওয়া হল।

আতিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) নিয়োগের প্যানেল প্রস্তুত ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন অফিস/প্রতিষ্ঠান থেকে জরুরি ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারির তালিকা সংগ্রহ করা প্রয়োজন।

প্যানেলভুক্ত করার জন্য নীতিমালা মেনে ইসির এ সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন নির্দেশনা মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

“ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগে যত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকের প্রয়োজন হবে তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি লোকবল বাছাই করে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ছকে  ইসি সচিবালয় ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে পাঠাতে হবে,” বলেন উপসচিব আতিয়ার রহমান।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকাভুক্ত নির্বাচনী আসনের জন্য আলাদা তালিকা প্রস্তুত করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, এবার সাড়ে ছয় লাখ থেকে সাত লাখের মতো লোকবলকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত রাখা হবে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে রিটার্নিং অফিসার প্যানেল প্রস্তুত করবেন। তফসিল ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে এ প্যানেল কমিশনে পাঠাতে হবে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত নিয়োগের আগে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফলাফল, প্রতিস্থিতি প্রতিবেদন ও অন্যান্য কাজের জন্যও আলাদা তালিকা থাকবে। তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মাহপরিচালক মোস্তফা ফারুক জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের জন্য ২ লক্ষাধিক ভোটকক্ষ থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা একজন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দুইজন এবং ভোটকক্ষ প্রতি ২ জন পোলিং অফিসার মিলিয়ে কেন্দ্রে প্রতি অন্তত ৮-১০ জন পোলিং অফিসার থাকবে। অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার লোকবল প্রস্তুত রাখা হবে।

সব মিলিয়ে ৭ লক্ষাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ থাকবে মাঠ পর্যায়ে।

ফারুক বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। শিগগির তা শেষ হবে। জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। মাঠ পর্যায়ে ভোটের আগেই চূড়ান্ত পর্যায়ে সব লোকবলের প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে।”

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইতোমধ্যে বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ভোটে অনেক লোকবল লাগবে। উপজেলা পর‌্যায়ে শূন্যপদ পূরণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগের নিরের্দশনা দেওয়া হয়েছে।