মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক আলোচনায় এ বিষয় কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “নারীরা তাদের অধিকার নিয়ে যেভাবে কথা বলতে পারে হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষও তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারে। কারণ তারা আমাদের সমাজ ও পরিবারের বাইরের কেউ নয়।
“হিজড়ারা দেশের সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে না, তাদের অধিকারও মানবাধিকার।”
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, হিজড়ারা তাদের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে পৈতৃক মালিকানায় অংশ থাকা জরুরি বিষয়।
“মৃত্যুর পর তাদের সৎকার করা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অনেক মৌলভী তাদের সৎকার করতে অনীহা প্রকাশ করেন যা খুবই দুঃখজনক।”
মেনন বলেন, একজন হিজড়া রাতের আধারে লুকিয়ে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে আসে, এটা খুবই হৃদয়বিদারক ব্যাপার।
হিজড়াদের এসব সামাজিক সমস্যাগুলো থেকে উত্তোরণে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
এসব সমস্যা সমাধানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় হিজড়াদের পক্ষে জয়া শিকদার বলেন, “আমরা কোথাও ভাল বাসা ভাড়া নিতে পারি না, হিজড়া হওয়ায় কেউ বাসা ভাড়া দেয় না।
“কোথাও যাতায়াত করতে চাইলে বাসে ওঠা না। ভোট দিতে গেলে দুই-তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভোটের অধিকার আদায় করতে হয়। এগুলো আমাদের জন্য ভীষণ অপমানের।”
‘বৈধ স্বীকৃতির ক্ষেত্রে বাধা ও উত্তোরণের উপায়সমুহ’ শীর্ষক এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
অন্যদের মধ্যে ঢাকায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, আইসিডিডিআরবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা, ‘বন্ধু’ সংগঠনের ফারহানা জারিফ কানতা ছাড়াও হিজড়াদের মধ্যে চৈতি ও ময়ুরী বক্তব্য দেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক এম রবিউল ইসলাম সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।