উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় এজিফান্ড পুরস্কার পেল ব্র্যাক

প্রাথমিক পর্যায়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘দি আরব গালফ প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্ট’ (এজিফান্ড) পুরস্কার পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2018, 01:46 PM
Updated : 18 Oct 2018, 01:46 PM

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে বুধবার ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন এজিফান্ডের বিশেষ প্রতিনিধি সৌদি যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।

আরব ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর উন্নয়ন সংস্থার এই পুরস্কার কমিটির সদস্য স্পেনের রানি সোফিয়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের এক সংবাবদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, শিক্ষায় উন্নয়নের মোট চারটি শ্রেণিতে ১৯৯৯ সাল থেকে এজিফান্ড পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম শ্রেণিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয় জাতিসংঘ বা অন্য কোনো বিশ্ব সংস্থার বাস্তবায়িত কর্মসূচির জন্য। উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানের জন্য এই শ্রেণিতে চার লাখ ডলার (তিন কোটি বেয়াল্লিশ লাখ টাকা) পুরস্কার পেয়েছে ব্র্যাক।

দ্বিতীয় শ্রেণিতে জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচির জন্য তিন লাখ ডলারের পুরস্কার পেয়েছে নেপালের ‘জীবনবিকাশ সমাজ’।

আর চতুর্থ শ্রেণিতে ব্যক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত শিক্ষা কর্মসূচির জন্য এক লাখ ডলার পেয়েছেন ভারতের প্রজ্বলা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুনীতা কৃষ্ণান।

তৃতীয় শ্রেণিতে সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত শিক্ষা কর্মসূচির জন্য এবার কোনো আবেদন যোগ্য বলে এজিফান্ড গ্রহণ করেনি।

ব্র্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের পুরস্কারের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) চতুর্থ লক্ষ্য ‘মানসম্মত শিক্ষা’ বিষয়ে ৭৬টি প্রকল্পের নাম জমা পড়ে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একদল বিশেষজ্ঞের বিবেচনার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় এজিফান্ডের প্রেসিডেন্ট সৌদি যুবরাজ তালাল বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন কমিটির সদস্য স্পেনের রানি সোফিয়া।

এজিফান্ডের পুরস্কার কমিটি চলতি বছরের পুরস্কারের বিষয়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসডিজির প্রথম লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে এজিফান্ড আন্তর্জাতিক পুরস্কার ২০১৮-এর বিষয় ‘দারিদ্র্যমুক্তি, বিশ্ব থেকে সব ধরনের দারিদ্র্য নিরসন’।