তার দাবি, বিএনপি ভোটের আগে মানুষের সহানুভূতি পেতে মামলা নিয়ে অপপ্রচার করছে।
শিল্পমন্ত্রী আমু আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চার হাজার ১৮২টি মামলা হয়েছে, আসামি করা হয়েছে ৮৮ হাজার জনকে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৬ জনকে।
এসব মামলায় আসামিদের মধ্যে প্রয়াত কিংবা বিদেশে থাকা নেতা-কর্মীদেরও আসামি করার বিষয়টি উল্লেখ করে এগুলোকে ‘গায়েবি’ মামলা বলছে বিএনপি; এনিয়ে হাই কোর্টেও গিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী আমুর কাছে বিএনপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এটা সঠিক নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ তারা দেখাতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচার কাজের সুবিধার্থে এই ধরনের অপপ্রচার চালাতে পারে।”
মৃত ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের আসামি করার বিষয়টি তুলে ধরলে আমু বলেন, “এগুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে সঠিকভাবে কোনো প্রমাণ আসেনি। তারা বক্তৃতায় বলছে। তারা স্পেসিফাই করলে এটা আমরা দেখব।”
ভোটের আগে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের অবস্থান এখনও স্পষ্ট না হলেও প্রবীণ রাজনীতিক আমু বলেন, সব দল এখন নির্বাচনমুখী।
“দলগুলো নির্বাচনমুখী এবং তারা নির্বাচনের সপক্ষেই কথা বলছে। নির্বাচনে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য কোনো দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে, সেটা অন্য কথা। বাট, সবাই নির্বাচনমুখী এবং নির্বাচনের পক্ষেই কথা বলছে। এটাই মূল কথা।”
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কোনো আশঙ্কাও করছেন না আমু।
তিনি বলেন, “যাদের নিয়ে আশঙ্কা, তারা কিন্তু সেই ধরনের কথা বলছেন না। তারা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রশ্ন আছে বলে আমি মনে করি না।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান আগের মতোই চলবে বলে জানান তিনি।
এই সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশ, র্যাব প্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।