নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকালে কমিশন সভা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় তা বর্জন করে বেরিয়ে যান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালকুদার।
পরে বিকালে নিজের কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, অংশীদারমূলক, গ্রহণযোগ্য করতে কিছু প্রস্তাব নিয়ে তিনি আলোচনা করতে চাইলেও তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
দেড় মাস আগেও আরেকটি কমিশন সভা বর্জন করেছিলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাবগুলো প্রসঙ্গে কবিতা খানম বলেন, “আমি পাঁচটি প্রস্তাব দেখেছি। এর মধ্যে একটা ছিল নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা। কিন্তু এই বিষয়টি কমিশনে আলোচনা করার সময় এখানো আসেনি।
“আর একটা বিষয় ছিল জনপ্রশসান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির অধীনে ন্যস্ত করার। সাংবিধানিকভাবে এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যস্ত। সুতরাং এটা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে যদি আলোচনা করি সেটা সংবিধানের সঙ্গে সংঘর্ষিক একটা বিষয়।
“নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়টি ইসির এজেন্ডায় আসার মতো প্রস্তাব নয়। সুতরাং তার প্রস্তাবগুলো অযৌক্তিক।”
সরকারের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকারে সঙ্গে আমরা কি নিয়ে সংলাপ করব। আমি মনে করি না এই মুহূর্তে সংলাপ করার দরকার আছে। আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি। আর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করার মতো সময় মনে হয় না নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে।”
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংসদ বহাল থাকবে কি থাকবে না এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়।”
তবে মাহবুব তালুকদারের সভা বর্জনের ঘটনায় কমিশনে মতানৈক্য তৈরি হবে না বলে জানান তিনি।
সভা বর্জনের বিষয়ে কমিশন বিব্রত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু উনি সভা বর্জন করে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসেছেন, এতে একটা ম্যাসেজ পাচ্ছি যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু কমিশন সেটা ফিল করছে না।”
কবিতা খানম বলেন, “আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ দিতে আচরণবিধি সুনিশ্চিতভাবে প্রতিপালন করা হবে।
“আচরণবিধিতে তেমন বড় কোনো ধরনের সংশোধন নেই। সাধারণ কিছু সংশোধন আসছে।”
তিনি বলেন, “আচরণবিধি কেউ না মানলে অবশ্যই জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হবে। যদি আচরণবিধি সঠিকভাবে আমরা প্রয়োগ করি, প্রাথীরা ফলো করে, তাহলে সমস্যা হবে না। আর কেউ যদি তা ভঙ্গ করে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থার সুযোগ থাকবে কমিশনের।”
তাই আচরণবিধির বাইরে কেউ কিছু করলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।