বুধবার বিকালে রিয়াদের কূটনৈতিক কোয়ার্টারে ৭ হাজার ৯৫০ বর্গমিটার আয়তনের ওই প্লটে দূতবাস ভবনের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “সত্যিই খুব আনন্দ লাগছে। রিয়াদে নিজেদের জায়গা হল। এটা রিয়াদে বাংলাদেশ।”
এতদিন রিয়াদে ভাড়া বাড়িতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাজ চলত। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের জুনে সৌদি আরব সফরে গিয়ে নতুন দূতাবাস ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন। ওই বছর ২৫ অগাস্ট চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বুধবার নতুন দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের পর সেখানে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন শেখ হাসিনা।
এ অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে তার মেয়ে হাসিনা বলেন, “আজ বারবার মনে হচ্ছিল, আজ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নিজেদের দূতাবাস থাকত; আমাদের মর্যাদা আরও বাড়ত।”
তিন হাজার ৮১৮ দশমিক ৬৮ বর্গমিটার আয়তনের ওই দূতাবাস ভবনের সেবা প্রত্যাশীদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুপরিসর অপেক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নতুন ভবনের মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। এর গতি কেউ থামাতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য বিশেষভাবে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এই অগ্রযাত্রা যেন ধরে রাখতে পারি, সেজন্য আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হোন।”
চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। সেজন্য দুঃখ নাই। দেখবেন, যেন উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকে।”
সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে মঙ্গলবার সৌদি আরব পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি মক্কায় ওমরাহ পালন করবেন। সফর শেষে শুক্রবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।