মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার দূত হু ক্যাং-ইল এবং ডাচ দূত হেনড্রিকাস জি. জে (হ্যারি) ভারউইজ পৃথকভাবে বঙ্গভবনে গিয়ে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। তিনি বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে সহযোগিতার এই মাত্রা আরও সম্প্র্রসারিত হবে।”
এসময় দক্ষিণ কোরিয়ার দূত তার দেশের প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
ডাচ দূতের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য-বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। ডাচ বিনিয়োগকারীরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্থল হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
তিনি দুই দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকরি-বেসরকারি পর্যায়ে পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে দুই দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদের পৃথকভাবে গার্ড অব অনার দেয়।