নির্বাচনের আগে পরীক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ: শিক্ষামন্ত্রী

আগামী নির্বাচনের আগে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট  (জেএসসি) ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2018, 07:10 PM
Updated : 15 Oct 2018, 07:10 PM

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের আগে আগে এ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নফাঁসের মিথ্যা প্রচার বা গুজবের মাধ্যমে সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে, আমাদের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জ। “

সোমবার সচিবালয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমান পরীক্ষা-২০১৮ উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছে। তার আগে আগামী ১ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে ২৬ লাখ শিক্ষার্থী।

মন্ত্রী বলেন, “চেষ্টা করছি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করতে পারার, যদিও ক্রিমিনালরা নতুন নতুন পদ্ধতি খোঁজে। আমরা খুবই কঠোর অবস্থান নিয়েছি।”

পরীক্ষা যাতে নকলমুক্ত, প্রশ্নফাঁস মুক্ত, শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে বলে জানান তিনি।

পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে হলে  ঢোকার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিথিলতা দেখাতে পারব বলে মনে হয় না। আগে আসতেই হবে।”

মিথ্যাচার বা গুজব যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, “দেশের মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের এতই অবক্ষয় হয়েছে যে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষার্থীর গার্জেন বেশি আগ্রহী কিভাবে চোরা পথে প্রশ্ন ফাঁস করতে পারেন!”

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে হলে প্রবেশের নিয়মে পরীক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং অনিবার্য কারণে দেরি হলে বিষয়টি নমনীয়ভাবে বিবেচনা করতে বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

তিনি বলেন, “অনিবার্য কারণে লেইট হতে পারে। কেউ যদি দুই বা এক মিনিট লেইট করে, তাহলে তার নাম, রোল লিখে রেজিস্ট্রার খাতায় তা রাখতে হবে। একই পরীক্ষার্থী যদি একাধিক দিন দেরি করে তাহলে যাচাই করে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহামুদ-উল হক, মো. জাবেদ আহমেদ ও নাজমুল হক খান এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।