সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সংশোধিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে উপাচার্যের আদেশে ফল স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে একই দপ্তর থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ঘ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৮১টি কেন্দ্রে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর ৩১ মিনিট পরই হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের ১৪টি ছবি সাংবাদিকদের হাতে আসে।
পরে যাচাই করে দেখা যায়, এ প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪৩ মিনিট আগে (সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে) এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে আসে।
‘প্রশ্নফাঁসের’ অভিযোগ তদন্তে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটির দুই সদস্য হলেন- জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ইমদাদুল হক ও সহকারী প্রক্টর মাকসুদুর রহমান।
কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে পাঠানো সংশোধিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মাননীয় উপাচার্য দফতরের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসারের প্রেরিত ভুল তথ্যের জন্য “আগামীকাল ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে” মর্মে আজ প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরিত হয়েছিল। উপাচার্য মহোদয়ের আদেশক্রমে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।"
এই ভুলকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এসাইনমেন্টের মধ্যে ওরা লিখে রেখেছে, ওখান থেকেই প্রেস রিলিজ দিয়ে দিয়েছে।
“আমার কাছে তো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পৌঁছে নাই। রিপোর্টটা না পেলেতো আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”
পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবি
'ঘ' ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের কারণে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের পদত্যাগ ও পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা’৷
সোমবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি করা হয়।
সমাবেশে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান খান বলেন, “পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্নফাঁস হয়েছে, যার প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে আছে৷আমরা এই পরীক্ষা বাতিল চাই৷পরীক্ষা বাতিল না করা হলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।”
'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মুজাজাক্কের হোসেন এই সমাবেশে বলেন, “আমরা নিজের মেধাকে যাচাই করতে চাই৷এটা কোনো পরীক্ষা হয়নি৷এটা আমাদের সাথে পরীক্ষার নামে প্রহসন করা হয়েছে৷আমরা পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাই।”