শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৮১টি কেন্দ্রে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর ৩১ মিনিট পরই হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের ১৪টি ছবি সাংবাদিকদের হাতে আসে।
পরে যাচাই করে দেখা যায়, এ প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪৩ মিনিট আগে (সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে) এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে আসে।
“কিছুক্ষণ পরে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে ফের এক সেট হাতে লেখা উত্তরসহ প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপে আসে। প্রশ্নগুলো অভিভাবকের মাধ্যমে ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইলে আসে। পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জানতে পারি, প্রশ্নগুলো বগুড়ার এক প্রাইভেট কোচিং (ইপিপি) থেকে তার বাবা পেয়ে তাকে পাঠিয়েছেন। তারপর সেটা এক সাংবাদিককে জানাই। পরে পরীক্ষার মূল প্রশ্নের সঙ্গে সেটার মিল পাওয়া যায়।”
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোহেল রানাকে জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, “আমরা কোনো নির্ভরশীল সূত্র থেকে প্রশ্নফাঁসের তথ্য নিশ্চিত হতে পারিনি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে যে বিষয়টি বলা হচ্ছে সেটি প্রশ্নফাঁস নয়, ডিজিটাল জালিয়াতি কিনা সেটা খতিয়ে দেখব।
‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, “সর্বোচ্চ নজরদারির মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এমন কোনো অভিযোগ পাইনি।”
গত বছরও ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সেটিকে ডিজিটাল জালিয়াতি আখ্যায়িত করে একটি তদন্ত কমিটিও করেছিল। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কমিটির কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে ১৬১৫টি আসনের বিপরীতে (বিজ্ঞান ১১৫২, বিজনেস স্টাডি ৪১০, মানবিক ৫৩টি) আবেদনকারী ছিলেন ৯৫ হাজার ৩৪১ জন।