ঢাবির দুই হলে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে অতিথি কক্ষে নিয়ে মারা হয়েছে দুই শিক্ষার্থীকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2018, 06:22 PM
Updated : 11 Oct 2018, 06:22 PM

বুধবার রাতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও স্যার এ এফ রহমান হলে এই মারধরের জন্য দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের হল থেকে থেকে বের করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।

এই দুই ছাত্রলীগকর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, মুহসীন হলের শাহ ইবনে সোয়াদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, এ এফ রহমান হলের মোহাম্মদ রাকিব।

মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থীই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র।

মুহসীন হলে মারধরের শিকার শিক্ষার্থী জানান, শাহ ইবনে সোয়াদ ফোন করার পর তা না ধরায় তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মুহম্মদ মুহসীন হল প্রশাসন।

হলের প্রাধ্যক্ষ নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা ঘটনার তদন্তে হলের তিনজন আবাসিক শিক্ষককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"

এ এফ রহমান হলে মারধরের শিকার শিক্ষার্থী বলেন, একটি ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করায় রাকিব তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন।

তবে রাকিব বলেছেন, “সালাম না দেওয়ায় তাকে বকাঝকা করা হয়েছিল, মারধর করা হয়নি।”

এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি হাউজ টিউটরদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করব।”

অভিযোগ পাওয়ার পর দুই ছাত্রলীগকর্মীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম বলেন, “আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কাউকে মারার অধিকার রাখে না। আমরা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগপত্র দেন।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, “ঘটনা যেহেতু হলে ঘটেছে, তাই হল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি করে আমরা তদন্ত চালাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে ঘটনার বিচার করা হবে।”