বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবনে অনু্র্ধ্ধ-১৬ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খেলাধুলা বিকশিত করার জন্য যা যা করণীয় আমরা করব। আমরা পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা এবং মানুষের মধ্যে একটা মর্যাদাবোধ আনা যায়।
এছাড়া খেলাধুলার ফলে শারীরিক ও মানসিক গঠন মজবুত হওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমরা খেলাধুলাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি। সেইসাথে সংস্কৃতি চর্চাকে গুরুত্ব দিয়েছি। হয়ত একসময় আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম, হয়ত অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। অনেক বাধা ছিল। এখন আমাদের আর সেই বাধা নেই।
গত সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ভিয়েতনামকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
এই নৈপুণ্যের জন্য খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
মেয়েদের খেলার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “খুব সাহসী ভূমিকা সবাই রাখে। খেলার পারফরমেন্সও খুব ভালো। আমি চাই খেলাধুলা সাংস্কৃতিক চর্চা সবদিক থেকেই আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা আরও উন্নত হোক।”
এসময় প্রধানমন্ত্রী নিজের দাদা ও বাবাসহ তার পরিবাদের সদস্যদের ফুটবলপ্রীতির কথা তুলে ধরেন।
খেলাধুলার জন্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “যখনই ক্ষমতা পেয়েছি; আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্ব, মানুষের সেবা করা এবং যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনেছিলেন সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।”
অনুষ্ঠানে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে ফুটবল উপহার দেন খেলোয়াড়রা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।