এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন বাড়ল

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2018, 08:52 AM
Updated : 11 Oct 2018, 08:52 AM

খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদাসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক।

খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলায় গত ১২ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনকে চার মাসের জামিন দেওয়ার পর আজ পর্যন্ত আট দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ালো আদালত।”

খালেদা জিয়া বাদে এ মামলায় দণ্ডিত বাকি দুই আসামি হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিনজন হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফায়েড কপি) হাতে পান খালেদার আইনজীবীরা। এরপর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তার অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করে হাই কোর্ট।

এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বাড়াতে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করে হাই কোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র ও খালেদা জিয়ার কাছে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তবে আদালত বলে দেয়, রুলের ওপর শুনানি হবে খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে।

আদালত আদেশে বলে, দুদক আইনে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরনের রিভিশন বা আপিল দুর্নীতি দমন কমিশন করতে পারে কি না- সে বিষয়টি আলোচনা ও ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

পরে গত ১০ মে মামলার আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদালত। গত ১২ জুলাই থেকে এ মামলার আপিল ও রুল শুনানি শুরু হয়।

আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এ মামলার আপিল নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এ মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।