পাসপোর্ট চেয়ে মান্নার আবেদনে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
আইনজীবী শাহদীন মালিক পরে সাংবাদিকদের বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্নার যখন জামিন হয়, তখন একটা আদেশ ছিল যে, তার পাসপোর্ট আদালতে জমা রাখতে হবে।
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হলে পাসপোর্ট চেয়ে আবেদন করেন মান্না। গত বছরের ২৪ আগস্ট আপিল বিভাগ তাকে তিন মাসের জন্য পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
“এখন আবার চিকিৎসা করাতে উনি বিদেশ যাবেন। তাই পাসপোর্ট চেয়ে আবেদন করেছেন। সর্বোচ্চ আদালত তিন মাসের জন্য তাকে পাসপোর্ট ফেরত দিতে বলেছেন।”
রাষ্ট্রদ্রোহ ও উসকানির দুই মামলায় জামিনের শর্ত হিসেবে আপিল বিভাগের নির্দেশে পাসপোর্ট জমা রেখেছেন মান্না।
তার আবেদনের ওপর শুনানি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে মান্নার পাসপোর্ট ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
আর মান্নাকে বলা হয়েছে, চিকিৎসা শেষে বিদেশ থেকে ফেরার এক সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট জমা দিতে।
নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিআলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় সেনা বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে মামলা করা হয়। পরদিন মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৈধ সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টার অংশ হিসাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যাচেষ্টার মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর ২০১৬ সালের ৫ মার্চ একই থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। ওই মামলাতেও মান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ দুই মামলায় ওই বছরের ১১ অক্টোবর হাই কোর্ট থেকে জামিন পান মান্না। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।