১৫ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সিইসির সভাকক্ষে এ সভা হবে।
সর্বশেষ ৩০ অগাস্ট কমিশন সভা বসেছিল আরপিও সংশোধন নিয়ে। সেই সভায় নির্বাচন কমিশন মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করেছিলেন।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসিতে মত ভিন্নতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে অসন্তোষের মধ্যে দেড় মাস ধরে কোনো বৈঠক হয়নি। পরে পরিস্থিতি প্রশমিত হয়েছে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় শাখাসহ সব বিভাগে কাজ ভাগ করে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচি’র চূড়ান্ত কপি কমিশনে উপস্থাপনের কাজ চলছে।
রোববার ইসির উপ সচিব (সংস্থাপন) মো. মঈন উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত সভার নোটিসে বলা হয়েছে, “১৫ অক্টোবর সকালে ৩৬তম কমিশন সভা হবে। এর অন্যতম আলোচ্যসূচি হচ্ছে- একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণ।”
ইতোমধ্যে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ভোটের প্রস্তুতির প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে। যথাসময়ে তা কমিশনকে জানানো হবে। কোনো দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে একটা সময় ধারণা করা হচ্ছে।
“যেহেতু ৩০ অক্টোবর আমাদের সময় (নির্বাচনের ক্ষণ গণনা) শুরু হবে, এরপর যে কোনো সময় তফসিল করতে পারে কমিশন। আমাদের প্ল্যান ডিসেম্বরের মধ্যে করার।“
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশন সভায় ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে অন্তত ৯৬টি কর্মপরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নসূচির লক্ষ্যমাত্রা কমিশনকে অবহিত করা হবে।
নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরুর পর কমিশন সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে ফের কমিশন সভা আহ্বান করা হবে।