বরিশালের ভোটের ফল ঝুলে আছে দুই মাস

ভোটগ্রহণের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলের গেজেট প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2018, 05:02 PM
Updated : 2 Oct 2018, 02:56 AM

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ জুলাইয়ের ভোটের পর অর্ধশতাধিক কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে তদন্ত চূড়ান্ত  না হওয়ায় একীভূত ফলাফল প্রকাশ  করা যায়নি।

বরিশাল সিটিতে বর্তমানে নির্বাচিতদের মেয়াদ আগামী ২৩ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র আহসান হাবীব কামাল।

গত ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেটের সঙ্গে বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়।

ইতোমধ্যে সিলেট ও রাজশাহীতে দায়িত্বও নিয়ে ফেলেছেন নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলররা। কিন্তু বরিশালে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি স্থগিত হওয়ায় মেয়র প্রার্থী কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।

পরবর্তীতে আরও ৪৬টি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে অনিয়ম তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন।

ভোটগ্রহণ শেষে গণনার চিত্র বরিশাল ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের; কিন্তু চূড়ান্ত ফল ঘোষণা এখনও হয়নি

ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত এ কমিটি অগাস্টে দুই দফা তদন্ত করে। এসময় সংশ্লিষ্টদের শুনানি নেওয়া হয়।

সোমবার তদন্ত কমিটির সদস্য ইসির উপ সচিব ফরহাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সপ্তাহ দুয়েক আগে বরিশালের ৫৬টি কেন্দ্র নিয়ে আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সার্বিক বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

এ কর্মকর্তা জানান, মাঠ পর্যায়ের যে চিত্র তারা পেয়েছেন তা-ই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ইসির সিদ্ধান্ত পেলে আইন অনুযায়ী একীভূত ফলাফল প্রকাশে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে পারবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইতোপূর্বে বলেছেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত পেলে দ্রুত পুনঃভোটের ব্যবস্থা করা হবে স্থগিত কেন্দ্রগুলোয়। পাশাপাশি ঘোষিত কেন্দ্রের বিষয়েও নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

“কমিশনের অনুমোদন পেলেই একীভূত ফলাফল গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে,” বলেন তিনি।

সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে বিজয়ী ঘোষণা এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র

ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর জয় নিশ্চিতই বলা যায়।

বিএনপি এবার বর্তমান মেয়র কামালকে বাদ দিয়ে সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী করেছিল।

যে ১০৭ কেন্দ্রের ফল ঘোষিত হয়েছে, তাতে ধানের শীষের প্রার্থী সরওয়ারের চেয়ে ৮৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ।

নৌকা প্রতীকে সাদিক পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৩ ভোট। সরোয়ার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩৫ ভোট।

স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোট ৩২ হাজার ৯৩০টির সব কটি সরওয়ার পেলেও তিনি সাদিককে অতিক্রম করতে পারবেন না বলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।