কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রোববার দুদক প্রধান কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানকে হাজির হতে নোটিস পাঠিয়েছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
এক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞসাবাদের জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর নোটিসটি পাঠানো হয়েছিল ডিআইজি মিজানকে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ডিআইজি মিজান হাজির না হয়ে একটি আবেদন পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তিনি উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে গত শুক্রবার থেকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন। তিনি সুস্থ হলে পরবর্তী তারিখে দুদকে আসবেন বলে জানিয়েছেন।”
জিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে তার অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।
গত জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হন বলে দুদকে অভিযোগ আসে।
এই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে দায়িত্ব দেয় দুদক।
এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৩ মে মিজানকে প্রথম দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।